,

কপিলমুনিতে কৃষকরা সিডলেস লেবু চাষে ঝুঁকে পড়েছেন

এস,কে আলীম,কপিলমুনি খুলনা।। উত্তর পাইকগাছার কপিলমুনি মূলত কৃষিসম্মৃদ্ধ এলাকা। বিশেষ করে এলাকাটি চিংড়িচাষ অধ্যুষিত হওয়ায় সারা বছর জুড়ে এঅঞ্চলে প্রবাহিত হয় নোনা হাওয়া।আর এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে ফসল সহ নানা বৃক্ষরাজির উপর।বাধাগ্রস্ত হয় বিভিন্ন ফলজ ও বনজ বৃক্ষের স্বাভাবিক বৃদ্ধি সহ ফুল ফলের নিষিক্ততা এবং পূর্ণতায়।তবে সে ক্ষেত্রে সিডলেস চাইনা থ্রি জাতের কাগজি লেবুর চাষ কৃষকদের এক নতুন সম্ভাবনার পথ বাতলে দিয়েছে।এলাকার মাটির গুনাগুন ও আবহাওয়া এজাতের লেবুচাষে কোন অন্তরায় নেই।অধিক ফলন, স্বপ্ল উৎপাদন খরচ ও রোগ বালাই কম হওয়ার কারণে তাই অনেকে লেবুচাষে ঝুঁকে পড়েছেন।অনেকে সৌখিন ভাবে চাষ করতে যেয়ে এখন বানিজ্যিক ভাবে চাষাবাদ শুরু করেছেন।সাংবাদিক পলাশ কর্মকার,সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা শেখ আব্দুর রশিদ,শিক্ষক ও গীতিকার জি এম এমদাদ আলী এদের মধ্যে অন্যতম।সাংবাদিক পলাশ কর্মকার ২০২০ সালের মাঝামাঝি সময়ে তার ১ বিঘা পতিত জমির কিছু অংশে সৌখিনভাবে কয়েকটি সিডলেস চায়না থ্রি কাগজি লেবুর কলম লাগান।কয়েকমাস পর লেবু গাছের দ্রতবর্ধন ও গাছে ফুল আসায় উৎসায়িত হয়ে তিনি পুরো জমিতে লেবুর কলম লাগান।মাত্র বছর খানিকের মধ্যে লেবু বিক্রির পাশাপাশি গুটি কলমও বিক্রি শুরু করেন।এতে তিনি খরচের সমুদয় টাকা পুষিয়ে নিতে পেরেছেন বলে জানান।তিনি আরও জানান, তার ১ বিঘা জমিতে সাড়ে ৪ হাত অন্তর ২০০ পিচ লেবু গাছ লাগানো হয়েছে।প্রথম বছরেই প্রতি পিচ ১০০ টাকা হারে ১৩০০পিচ কলম বিক্রি সহ প্রতিটি লেবু ৩-৪ টাকা মূল্যে বিক্রি করেন।তিনি বলেন অল্প জমি,স্বল্পপুঁজি আর হালকা পরিশ্রমে এজাতের লেবু চাষ খুবই লাভজনক।কর্মবিমুখ ও শিক্ষিত বেকার যুবকরা এ জাতের লেবু চাষ করে তাদের বেকারত্ব ঘুচাতে পারেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।গাছের সার্বিক অবস্থা ও থোকায় থোকায় লেবুর ধরন দেখে স্মিত হাসি দিয়ে তিনি এ প্রতিবেদককে জানান,আশা করি আগামী বছর প্রায় ৪ লক্ষ টাকা লেবু ও কলম বিক্রি থেকে আয় হতে পারে।একই সুরে কথা বললেন ব্যাংক কর্মকর্তা শেখ আব্দুর রশিদ ও জি এম এমদাদ আলী।তাঁরা জানান,অল্প পরিশ্রম,রোগ বালাই ও উৎপাদন খরচা কম এবং বাজারে লেবুর প্রচুর চাহিদার কারণে তাঁরা এ চাষে ঝুঁকে পড়েছেন।তাঁরা আরও বলেন,কৃষি সংশ্লিষ্ট সরকারী প্রতিষ্টান গুলো কৃষকদের লেবু চাষে উদ্বুদ্ধ ও পৃষ্টপোষকতা করলে এ অঞ্চলের অম্লযুক্ত মাটিতে লেবু চাষে বৈপ্লবিক ঘটবে।অর্থনৈতিক ভাবে লাভবান হবে ঝিঁমিয়ে পড়া চাষিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *